Bangladesh

শাটল ট্রেনে মৃত্যুফাঁদ

২৮ হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী চলন্ত ট্রেনের ছাদে গাছের ধাক্কা :: ছিটকে পড়ে আহত ২৩ :: আইসিইউতে তিন শিক্ষার্থী :: ব্যাপক বিক্ষোভ অগ্নিসংযোগ অবরোধ :: ভিসির বাসভবনে ভাঙচুর ‘চবিতে এহেন শোচনীয় অবস্থা আর চলতে দেয়া যায় না’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন যেন মৃত্যুফাঁদ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে যাতায়াত করছে প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী। জরাজীর্ণ রেল লাইন, লক্কর ঝক্কর বগির কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে ভয়ঙ্কর এক দুর্ঘটনায় ২৩ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনজনকে রাখা হয়েছে আইসিইউতে। শহর থেকে শাটল ট্রেনের ছাদে চড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় হেলে পড়া একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। চলন্ত ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে যান কয়েক জন। প্রচ- আঘাতে কয়েকজনের মাথা ফেটে যায়।

এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং শাটল ট্রেনের বগির সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শাটল ট্রেন থেকে নেমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকে অবরোধ করে ব্যাপক বিক্ষোভ করেন তারা। তাদের সাথে যোগ দিতে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে হল থেকে বের হয়ে আসেন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। অবশ্য ভিসি প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এ বাসভবনে থাকেন না। এছাড়া অন্তত ২৪টি বাস, ১টি মোটরসাইকেল, ১৫টি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস ভাঙচুর করেন তারা। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক ক্লাবেও হামলা চালান। এসময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখান। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা শিক্ষক ক্লাবের একটি কক্ষে আশ্রয় নেন। তখন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের গাড়ি ও শিক্ষক ক্লাবের আসবাবও ভাঙচুর করেন। ভিসির বাসভবনে গ্যাসের সঞ্চালন লাইন ভেঙে ফেলেন শিক্ষার্থীরা। আসবাবপত্র জড়ো করে তাতে আগুন দেয়া হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ি, শিক্ষক ক্লাব এবং পরিবহন দফতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের ভেতরে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন তারা। এসময় ঘটনাস্থল অতিক্রম করতে গিয়ে বেশকিছু প্রাইভেট কার, অটোরিকশা, ট্রাক ভাঙচুরের শিকার হয়।

বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাতভর উত্তাল ছিলো পুরো ক্যাম্পাস। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপ-গ্রুপের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন। রাত একটায় মূল ফটক আটকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ বিক্ষোভ চলাকালেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপ-গ্রুপের নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে মারামারিতে জড়ালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে চলে যান। পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়। রাত দেড়টায় পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইট দিয়ে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা প্রবেশ করেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে শিক্ষক ক্লাবে আটকে থাকা প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরদের উদ্ধার করেন। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মূল ফটক খুলে দেন। এরপর থেকে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।

প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে ভিসির বাসভবনে হামলা চালানো হয়েছে। পরিবহনের কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে। শিক্ষক ক্লাবে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। রেলের বগিতে আগুন জ্বালানো হয়েছে, পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়েছে। আমার সাধারণ ছাত্রছাত্রী ভাইবোনদের পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখানে নিশ্চয়ই জননেত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী চক্র জামায়াত-শিবির ও বিএনপির অ্যাজেন্ডা ছিল। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটা ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে তারা।

তবে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসার পরও শাটলের সংখ্যা কিংবা বগির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়নি। আর তাই ট্রেনে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে ছাদে বসে যাতায়াত করেন। এই কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।

যেভাবে দুর্ঘটনা : বৃহস্পতিবার রাতে হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ চৌধুরীহাট এলাকায় ঘটে দুর্ঘটনা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী চলন্ত শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ২৩ শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশ, রেল কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য অনুযায়ী, রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে। ছাদে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বসা ছিলেন। চৌধুরীহাট এলাকায় পৌঁছার পর গাছের ডালে ধাক্কা খেয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী ট্রেনের ছাদ থেকে মাটিতে পড়ে যান। অনেক ছাদের উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন। অন্য শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করেন। প্রথমে তাদের পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ১৬ জনকে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। আহত শিক্ষার্থীর মধ্যে আটজন চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন, চবি’র বাংলা বিভাগের আমজাদ হোসেন সোহাগ (১৮) ও খলিলুর রহমান (২২) এবং লোকপ্রসাশন বিভাগের ছাত্র অংসইনু মারমা (২১)। আরও পাঁচজন ছাত্র হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন, বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের তাইজুল ইসলাম (২১) ও আবু সাইদ (২৪), ইংরেজি বিভাগের মোহাম্মদ সান (২১) ও আসলাম (২২) এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের রাফসান (২৩)। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওইদিন বিকেলে গাছের ডালের আঘাতে আরো তিনজন আহত হয়েছেন। ট্রেনের ভেতর জায়গা না পেয়ে তারা ছাদে বসে ভ্রমণ করতে বাধ্য হন।

শাটল এখন মৃত্যুফাঁদ : দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ২৭ হাজার। চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান বাহন শাটল ট্রেন। প্রতিটি নয় বগির দুটি ট্রেনে শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়া করতে হয়। জানা গেছে দিনে কমপক্ষে দশ হাজার শিক্ষার্থী শাটলে যাতায়াত করেন। শিক্ষার্থীর তুলনায় শাটল ট্রেনে বগির সংখ্যা কম হওয়ায় ঠাসাঠাসি করে বসে দাঁড়িয়ে এমন কি ছাদে বসেও ভ্রমণ করতে বাধ্য হন অনেকে। লাইন জরাজীর্ণ, পাথর উঠে গেছে অনেক এলাকায়। ট্রেন চলাচল করে ঝুঁকি নিয়ে। ছাদ থেকে গিয়ে আহত এমন কি পঙ্গু হওয়ার ঘটনা ঘটছে। লাইনচ্যুত হওয়া কিংবা মাঝ পথে শাটল বিকল হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে অনেক বার। আছে পকেটমার চোর ছিনতাইকারী আর নেশাখোর দুর্বৃত্তের উৎপাত। যৌন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে ছাত্রীদের। শাটল ট্রেনের সংখ্যা এবং নিরাপত্তা বাড়াতে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে করেছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ বছর বছর ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হয় কিন্তু বাড়ছে না বগির সংখ্যা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী রা যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। এজন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন।

চলেনি শাটল : এদিকে এ ঘটনার পর গতকাল শুক্রবার সকালে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি থমথমে ছিল। তবে দুর্ঘটনার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে শাটল চলাচল। কোনো ট্রেন নগরীর বটতলী থেকে ছেড়ে যায়নি। আগের রাত সাড়ে নয়টায় যে ট্রেনটি ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা, সেটি ক্যাম্পাসে রয়ে যায়। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, দুর্ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা লোকোমাস্টার ও সহকারী লোকোমাস্টারকে লাঞ্ছিত করেছেন। এরপর নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তারা স্টেশনে ট্রেন রেখেই চলে এসেছিলেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার আগের নিয়মে ট্রেন চলবে।

ভিসি’র বক্তব্য : ছাদ থেকে পড়ে ২০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার প্রতিবাদে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে শাটল ট্রেনের বগির সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাস দিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। তিনি বলেন, শাটলের ব্যাপারে আমরা রেলওয়েকে বলতে বলতে শেষ। এমনকি রেলওয়ে মন্ত্রী আমাদের গতবছরই বলেছিলেন ট্রেন দিবেন। আমরা পাইনি। তারা বলেছে, তারা চেষ্টা করছে আরও দুই তিনটা বগি বাড়ানোর। শাটল ট্রেনে দুর্ঘটনার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ড. শিরীণ আখতার। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে চবি ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, আমরা আহতদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো। তারা যেন ভালো চিকিৎসা পায় এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে আমরা এটাই চাইব।

এহেন শোচনীয় অবস্থা চলতে দেয়া যায় না : সুজন চট্টগ্রামের সভাপতি ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড, মুহাম্মদ সিকান্দর খান ইনকিলাবকে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সুদীর্ঘ সময় ধরে শাটল ট্রেনে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। তারা রীতিমত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করছেন। এহেন শোচনীয় অবস্থা আর চলতে দেয়া যায় না। দেশের বিশ্বিদ্যালয়গুলোর জন্য বরাদ্দের তেমন ঘাটতি নেই। এরপরও কেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যবস্থাপনা বন্ধ করতে সরকারকে এখনি নড়েচড়ে বসতে হবে। এতে কারো চেয়ার যদি নড়েও যায় তাতেও কোন অসুবিধা নেই।

পরিস্থিতি থমথমে ভাঙচুরের ঘটনায় তিন মামলা
ভিসির বাসভবন, পরিবহন দফতর ও শিক্ষক ক্লাবে ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে। আরো কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর শিরীণ আখতার। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটবে আমরা ভাবতেও পারিনি। কী করে দু-তিনশ’ ছেলেমেয়ে মাস্ক পেল, হাতে দা-কিরিচ পেল, আমাদের পরিবহনের গাড়িগুলো ভাঙলো, শিক্ষক ক্লাব ভাঙচুর করল, ভিসি বাংলো ভাঙচুর করল, এসব বিষয় আমাদের খুব অবাক লাগলো। এগুলো ছাত্রসুলভ কাজ নয়। ছাত্ররা এ ধরনের কাজ করত পারে তা আমার ধারণার বাইরে। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে, তাই আপাতত আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাই মিলে এসব তদন্ত করবেন। তিনটি মামলা হয়েছে আরো মামলা হবে। নিরাপত্তা প্রহরীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। সেটা আমাকেও করতে পারতো। তাই এ বিষয়ে অ্যাটেম্প টু মার্ডারে মামলা হবে। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ দেখে এসব করা হবে। এখন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের আসামী করা হয়েছে। প্রক্টর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি বেনু কুমার দে, সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আবুল মনছুর, মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ, ইনস্টিউটিশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক আবদুল্লাহ মামুন, ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী।

আইকিউএসির পরিচালক আব্দুল্লাহ মামুন বলেন, ভাঙচুরের এসব ঘটনা সাধারণ শিক্ষার্থী ঘটিয়েছে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই না। এখানে নিশ্চয়ই অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা কোনোভাবে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা মেনে নিব না। আমরা সবাই মিলে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াবো। শিক্ষার্থীরা অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button