পৃথিবীতে লুকানো প্লাজমা কাঠামোর খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

প্লাজমা শব্দের সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। প্লাজমা পদার্থের এমন এক অবস্থা যেখানে পরমাণুর ইলেকট্রন বিচ্ছিন্ন হয়ে আয়নিত গ্যাস তৈরি করে। এটি অত্যন্ত উত্তপ্ত ও বিদ্যুৎ পরিবাহী। মহাবিশ্বের তারকাপুঞ্জ ও নীহারিকায় প্লাজমার প্রাচুর্য দেখা যায়। আমরা যে প্লাজমা কাঠামোর কথা জানি তার ঘনত্ব গ্যালাক্সির শক্তিশালী ঘটনার মাধ্যমে তৈরি হয়। বিজ্ঞানীরা এবার শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপের মাধ্যমে রহস্যময় এক প্লাজমা কাঠামোর খোঁজ পেয়েছেন। নেচার অ্যাস্ট্রোনমি সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে পৃথিবীর কাছে লুকানো এই প্লাজমা কাঠামোর তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্য মতে, দ্রুতগতিতে ঘূর্ণায়মান একটি পালসারকে ঘিরে থাকা আন্তনাক্ষত্রিক শক ওয়েভের মধ্যে নতুন প্লাজমা স্তরের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। জে০৪৩৭-৪৭১৫ নামের পালসারটি পৃথিবী থেকে ৫১২ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। সাধারণভাবে বলা যায় পালসার বিশেষ ধরনের নিউট্রন তারা। অতি-ঘন নাক্ষত্রিক অবশিষ্টাংশ পালসার রেডিও তরঙ্গ রশ্মি ও কণার একটি শক্তিশালী প্রবাহ তৈরি করে। পালসার ও তার কণা প্রবাহ দ্রুত গতিতে আন্তনাক্ষত্রিক মাধ্যমের মধ্য দিয়ে চলে যায়। যার কারণে উত্তপ্ত গ্যাসের একটি শক তরঙ্গ তৈরি হয়। আন্তনাক্ষত্রিক প্লাজমা অশান্ত ধরনের। সেখান থেকে বিক্ষিপ্ত তরঙ্গ বিশেষ নকশা তৈরি করে মহাকাশে। এর ফলে পালসারকে দূর থেকে মিটমিটে তারার মতো মনে হয়।
বিজ্ঞানীরা বর্তমানে সিন্টিলেশন আর্ক নামের ইন্টারফেরেন্স প্যাটার্ন থেকে পালসার তরঙ্গের সুবিন্যস্ত আকার উন্মোচন করতে কাজ করছেন। সিন্টিলেশন আর্ক গবেষণা অনেকটা আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুকে সিটি স্ক্যান করার মতো।