মঙ্গল যাত্রার নতুন সময়সূচি জানালেন ইলন মাস্ক: লক্ষ্য ২০২৮

মানুষের চিরন্তন কৌতূহল ‘পৃথিবীর বাইরে কোথাও কি আমরা বসতি গড়তে পারব?’ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই মঙ্গল অভিযানের পথে এগিয়ে চলেছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স। এত দিন ধারণা ছিল, ২০২৬ সালের মধ্যেই স্টারশিপ নিয়ে মঙ্গলের উদ্দেশে রওনা দেবে প্রথম মিশন। তবে বাস্তবতা কিছুটা বদলেছে। এবার নতুন সময়সীমা জানালেন খোদ মাস্ক—২০২৮ সালের আগে নয়।
সম্প্রতি এক ঘোষণায় ইলন মাস্ক জানান, স্টারশিপ মহাকাশযানের প্রথম মঙ্গলমুখী মিশন হবেমানববিহীন এবং সেটি পরিকল্পনা ২০২৮ সালে। আর যদি সবকিছু ঠিকঠাক চলে, তবে ২০৩০ সাল নাগাদ মঙ্গল পৃষ্ঠে পা রাখবে প্রথম মানুষ।
স্টারশিপের সাম্প্রতিক কয়েকটি উৎক্ষেপণ ব্যর্থতা এবং মহাকাশে প্রপেলেন্ট রিফুয়েলিং (জ্বালানি ভরার) জটিলতা—এই দুটি বিষয় স্পেসএক্সকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। বিশেষ করে, এ বছরের শুরুতে ফ্লাইট ৯ পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে ফিরে আসার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধ্বংস হয়। যা এই অভিযানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
তবে ঘটনাগুলোর পরেও আশাবাদী এলন মাস্ক। তার মতে, মঙ্গল ছোঁয়ার আগে পাড়ি দিতে হবে একাধিক ‘জটিল মাইলফলক’। মাস্কের মতে প্রতিটি চ্যালেঞ্জই ভবিষ্যতের সাফল্যের পথে একটি ধাপ।
স্টারশিপ প্রোগ্রামের ভবিষ্যৎ নিয়ে দারুণ আশাবাদী মাস্ক। শুধু মঙ্গলেই নয়, মহাশূন্যে দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য এই যানকে তৈরি করা হচ্ছে নানা প্রযুক্তিতে সজ্জিত করে। তাপ প্রতিরোধী আবরণ, শক্তিশালী ইঞ্জিন, রকেট পুনরুদ্ধারের সক্ষমতা—সবই উন্নত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে স্টারশিপকে আরও দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে ফ্যালকন রকেটের উপর নির্ভরতাও কমিয়ে আনতে চাইছেন এলন মাস্ক।
ইলন মাস্কের জন্য মঙ্গল অভিযান শুধুই বৈজ্ঞানিক জয়ের প্রশ্ন নয়, এটি মানবজাতির টিকে থাকার পরবর্তী অধ্যায়। যদিও সময় কিছুটা পিছিয়ে গেছে, কিন্তু যাত্রাপথ থেমে নেই। বরং আরও প্রস্তুত হয়ে, আরও নিখুঁতভাবে এগোতে চাচ্ছে স্পেসএক্স—একটি লাল গ্রহের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে।