কুড়িগ্রামে চিকিৎসা সংকটে অর্থ, জীবন দুই-ই যাচ্ছে
ক্যান্সার আক্রান্ত স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে ২২ শতক জমি ও গরু বিক্রি করেন মিনতি রানী। চিকিৎসার প্রথম স্তর পার হওয়ার আগে আবার অর্থসংকট দেখা দেয়। অবশেষে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয় তাঁর স্বামী গোবিন্দ চন্দ্রের। এখন মিনতি রানী নিজেও ক্যান্সারের রোগী।
প্রথমে কিছুদিন ঢাকায় এসে চিকিৎসা করালেও অর্থের অভাবে হাল ছেড়ে দিয়েছেন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা মিনতি রানী বলেন, ‘আল্লাহ হায়াত না দিলে কিছু করার নাই। স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে তো সব বেচে দিয়েছি। এখন ভিটেটুকু ছাড়া কিছুই নাই।
তিন ছেলে জোয়াল টেনে কোনো রকমে সংসার চালায়। যা দেয় খাই। চিকিৎসা করাব কোত্থেকে!’
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ও হলোখানা—এই দুটি ইউনিয়নে জীবিত ৫১ এবং মৃত ১০৫ জন ক্যান্সার রোগীর ওপর একটি ছোট সমীক্ষা পরিচালনা করেছে কালের কণ্ঠ। সমীক্ষায় মৃতদের চিকিৎসার কাগজপত্র পর্যালোচনা করা হয় এবং স্বজনদের সঙ্গে কথা বলা হয়।
এতে দেখা যায়, ক্যান্সারে আক্রান্ত একজন রোগীর চিকিৎসায় গড়ে আট লাখ টাকা পকেট থেকে খরচ করতে হয়। এই খরচ জনপ্রতি সর্বনিম্ন দেড় লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৩৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় যাতায়াত, পরীক্ষা ও ওষুধ কিনতেই।
সমীক্ষায় দেখা যায়, এই দুই ইউনিয়নের জীবিত ও মৃত রোগীদের সর্বোচ্চ প্রায় ২৭ শতাংশ হেডনেক বা মুখগহ্বর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। ১৭.২ শতাংশ ব্লাড ক্যান্সার, ১৪.১০ শতাংশ পাকস্থলীর ক্যান্সার, ৮.৩৩ শতাংশ জরায়ু ক্যান্সার, ৫.১২ শতাংশ স্তন ক্যান্সার এবং ৫.৬ শতাংশ খাদ্যনালির ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে।
দুই ইউনিয়নের ১৫৬ রোগীর মধ্যে ১২০ জন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তাদের কেউ গড়ে দুইবারের বেশি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যায়নি। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ১১৯ জন। এই রোগীদের মাত্র ৪৫ জন দ্বিতীয়বার চিকিৎসার জন্য গেছে। দেশের বাইরে চিকিৎসা নেওয়া আটজন রোগীর মধ্যে চারজন দ্বিতীয়বার ভারতে চিকিৎসার জন্য যায়।
চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির ওপর নির্ভর করেছে প্রায় সবাই। ব্যাংক ও এনজিওর ঋণ, জমি বিক্রি বা বন্ধক, গবাদি পশু বিক্রিসহ নানাভাবে অর্থ জোগাড় করে চিকিৎসার খরচ মিটিয়েছে অনেক রোগী। সমীক্ষার তথ্য মতে, শতকরা ৪৪.৮৭ ভাগ রোগী ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে, ৩০.৭৭ ভাগ জমি বিক্রি করেছে, ২১.৭৯ ভাগ জমি বন্ধক এবং ৩৭.১৭ ভাগ গবাদি পশু বিক্রি করেছে। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে সহায়তা পেয়েছে ১২ জন, যা মোট রোগীর ৭ শতাংশ।
চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সমীক্ষা কার্যক্রম চলে। সমীক্ষায় ১৭ হাজার ৩৯০টি পরিবারের মধ্যে মোট ১৫৬ জন ক্যান্সার রোগীর বিষয়ে ১৭টি প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—রোগীর বয়স, ক্যান্সারের ধরন, চিকিৎসা গ্রহণের সময়কাল, আর্থিক অবস্থা, হাসপাতালের নাম ইত্যাদি।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-ই মুর্শেদ বলেন, ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা নিয়ে কোনো পরিসংখ্যান সংরক্ষণ করা না হলেও সার্বিকভাবে প্রতীয়মান হয়, জেলায় ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জেলায় ক্যান্সারের চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় মেডিক্যাল অফিসার ও কনসালট্যান্টরা সন্দেহভাজন রোগীদের রংপুরের চিকিৎসকদের কাছে রেফার করেন।
রংপুর বিভাগে ক্যান্সার হাসপাতাল নেই
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, প্রতি ১০ লাখ মানুষের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার কেন্দ্র বা হাসপাতাল থাকা প্রয়োজন, যেখানে ক্যান্সার শনাক্তসহ ক্যান্সার চিকিৎসার তিন ধরনের চিকিৎসা (কেমোথেরাপি, সার্জারি ও বিকিরণ চিকিৎসা) থাকতে হবে। উত্তরের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের বসবাস হলেও এই অঞ্চলে কোনো বিশেষায়িত হাসপাতাল নেই।
এখন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গাইনি, মেডিসিন, নাক-কান-গলাসহ বিভিন্ন বিভাগে ক্যান্সার রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাঠানো হয় চট্টগ্রাম, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকার ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটে। এতে যাতায়াত, ওষুধ ও চিকিৎসা খরচ মিলিয়ে রোগীর খরচ আরো বেড়ে যায়। খরচ বহন করতে না পেরে অনেকে নিজেকে মৃত্যুর হাতে সঁপে দেয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ের বায়োপসি পরীক্ষাও এই হাসপাতালে হয় না। চিকিৎসকরা ঢাকায় এই পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠান। রেডিওথেরাপি দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের যেতে হচ্ছে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগে গিয়ে কথা হয় নীলফামারী জেলার দুহুলি শান্তিনগর গ্রাম থেকে আসা রোগী মোমেনুল হকের সঙ্গে। তিসি পেশায় রিকশাচালক। তাঁর গলায় ক্যান্সার ধরা পড়েছে। অপারেশনের পর চারটি কেমোথরাপি প্রদানের পরামর্শ দেওয়া হলেও টাকার অভাবে একটিও দিতে পারেননি।
পাশের গাইনি বিভাগে ভর্তি রংপুরের মমিনপুর গ্রামের গৃহবধূ আনোয়ারা বেগম। তাঁর জরায়ুর ক্যান্সার। এ পর্যন্ত তিনি আটটি কেমোথেরাপি নিয়েছেন। চিকিৎসায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন আর ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই। হাসপাতাল থেকেও বলা হয়েছে, ওষুধের সরবরাহ নেই।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুছ আলী বলেন, হাসপাতালে রেডিওথেরাপির মেশিনটি (কোবাল্ট ৬০ আইসোটোপ) ২০১৪ সাল থেকে নষ্ট। এটি মেরামতযোগ্যও নয়। নতুন করে মেশিন সরবরাহ পাওয়া যায়নি, আর মেশিন স্থাপনের জন্য উপযুক্ত ঘরও নেই। তিনি জানান, বর্তমানে ৪৬০ শয্যাবিশিষ্ট ক্যান্সার, কিডনি ও কার্ডিয়াক বিশেষায়িত হাসপাতালের নির্মাণকাজ চলছে। কাজ শেষ হলে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় অনেক অগ্রগতি হবে। ব্যয় ও দুর্ভোগ কমবে রোগীদের।
কেন বাড়ছে ক্যান্সার
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার নাথ বলেন, নারীদের ক্ষেত্রে জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার আর পুরুষদের ক্ষেত্রে পাকস্থলী, ফুসফুস ও হেডনেক ক্যান্সারের রোগী বেশি পাওয়া যায়। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগী রক্তের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।
স্বপন কুমার নাথ বলেন, রংপুর অঞ্চলে অ্যালকোহলজনিত ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী কম। তবে গুল, জর্দা বা তামাকজাতীয় পণ্য গ্রহণের প্রবণতা এই অঞ্চলে বেশি হওয়ায় ফুসফুসে ও মুখগহ্বর ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এ ছাড়া ভেজাল খাদ্যগ্রহণের কারণে অনেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি জানান, অনকোলজি সার্জনের অভাবে ঠিকমতো সার্জারি না হওয়া, রোগ লুকানো এবং সহজে মেনে নিতে না পারায় রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়। এসব কারণে ক্যান্সারের চিকিৎসায় সফলতার হার কম।
দুই-তৃতীয়াংশ রোগী বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করে
দর্জির কাজ করে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া দুই মেয়ের খরচ ও সংসারের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন সুরাইয়া বেগম। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের খালিসাকালোয়া গ্রামে। তাঁর স্বামী শহিদুল ইসলাম চাকরি করতেন আনসার ও ভিডিপিতে। ২০১৬ সালে বগলে টিউমার অপারেশন করাতে গিয়ে শনাক্ত হয় ক্যান্সার। চারটি কেমোথেরাপি দেওয়ার পরামর্শ দিলেও তখন ভয় আর অবহেলায় নেননি। ২০২০ সালে করোনাকালীন লকডাউনের সময় রোগীর অবস্থার অবনতি হলে রংপুরে নিয়ে গিয়ে ১২টি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। তবে তাঁকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে জমি বিক্রি ও বন্ধক রাখেন এবং এনজিও থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নেন। এখনো টানছেন সেই ঋণের ঘানি।
সেন্টার ফর ক্যান্সার এপিডেমিওলজি, প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, ‘চিকিৎসা ব্যয় বেশি হওয়ায় দেশের দুই-তৃতীয়াংশ রোগী চিকিৎসার বাইরে থাকে। তারা বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। যারা শনাক্ত হয় তাদেরও চিকিৎসা দেওয়ার মতো লোকবল ও চিকিৎসার যন্ত্রপাতি আমাদের নেই।’
ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে দ্য গ্লোবাল ক্যান্সার অবজারভেটরি ২০২০ সালের তথ্য মতে, দেশে প্রতিবছর এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। আর ক্যান্সারে প্রতিবছর মারা যায় এত লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলা হয়, প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ১০০ জনের বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।
১৩-১৪ শতাংশ পরিবার দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে
ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে গবেষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট। ২০১৬ সালে পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায়, চিকিৎসকের ফি, পরীক্ষা, অপারেশন, থেরাপি, রোগী ও রোগীর স্বজনদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়ার খরচসহ রোগীপ্রতি চিকিৎসা ব্যয় হয় ছয় লাখ ৩৯ হাজার ৮৩৫ টাকা। বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী তা প্রায় ১০ লাখে গিয়ে ঠেকেছে। এই বিপুল অর্থ ব্যয় করতে গিয়ে অনেক পরিবারই অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। তাই ক্যান্সারের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রোগীদের আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কুড়িগ্রামের হলোখানা ইউনিয়নের দুর্গম চর খামার হলোখানা গ্রামের বাসিন্দা আকলিমা খাতুনের স্বামী হাছেন আলী ঢাকায় রিকশা চালাতেন। দুই বছর আগে তাঁর ফুসফুসে ক্যান্সার শনাক্ত হয়। ৭০ হাজার টাকায় ১২ শতক জমি বন্ধক রাখা ছাড়াও এনজিও আশা থেকে ৮০ হাজার টাকা এবং গরু বিক্রির ৩৭ হাজার টাকাসহ এক লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ করেও বাঁচাতে পারেননি স্বামীকে। শুধু তাই নয়, মাদরাসাপড়ুয়া ছেলে আব্দুল আলিম উচ্চতর শ্রেণিতে ভর্তির টাকা জোগাতে ঢাকায় নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যান। ৯ তলা বিল্ডিংয়ে কাজ করার সময় পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাওয়া দুই লাখ টাকাও চলে যায় স্বামীর চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে। এখন পাঁচ বছরের প্রতিবন্ধী মেয়েসহ দুটি ছোট ছেলেমেয়ে নিয়ে ভাঙা চালাঘরে থাকেন। দুই বেলা খাবার জোটানোই কঠিন হয়ে গেছে নিঃস্ব হওয়া এই পরিবারের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনমিকস বিভাগের শিক্ষক ও ইউনিভার্সেল রিসার্চ কেয়ার লিমিটেডের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর আব্দুল হামিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ পরিবার ক্যান্সারের কারণে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যায়। তাই ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসায় একটি সরকারি তহবিল গঠন করা যেতে পারে। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে মাত্র ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হলেও ক্যান্সারের মতো রোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় তা খুব কাজে আসে না। তাই এই টাকার পরিমাণ বাড়ানো দরকার। পাশাপাশি ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য রোগীর যে বিপুল ব্যয় হয়, তার কিছুটা সরকার বহন করতে পারে। এ ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ওপর লেভি আদায় করে ফান্ড গঠন করা যায়। এ ছাড়া ব্যয় কমাতে ছয় মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ দিয়ে চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষে মতামত দেন তিনি।