Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
Hot

গুজববাজরা ধরাশায়ী

সেনাবাহিনীর স্মার্ট সিদ্ধান্ত সর্বমহলে প্রশংসিত ভারতীয় ‘র’ এর প্ল্যান হচ্ছে আত্মঘাতী কাজ করিয়ে আবার ১/১১ প্রেক্ষাপট সৃষ্টির পাঁয়তারা : রাশেদ খান অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি নেয়ার সহায়তায় সেনাবাহিনীর সম্মান বাড়বে : ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী

মনস্টার শেখ হাসিনা রেজিমে দেশের অধিকাংশ গণমাধ্যম সরকারের তাবেদারি করায় গণমাধ্যমের খবরের প্রতি মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতায় ভাটা পড়ে। মত প্রকাশ, কথা বলা এবং ভাবের আদান-প্রদানে সোশ্যাল মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ অনেকগুলো আন্দোলন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণায় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণায় দলমত নির্বিশেষে রাস্তায় নেমেছিল। সোশ্যাল মিডিয়া সমাজ জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু এই প্লাটফর্মের অপব্যবহারও কম হচ্ছে না।

বরং এক শ্রেণির মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে অপপ্রচার, কুৎসা রটানো, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার, সহিংসতার ভুল তথ্য প্রচারে গুজব ছড়াচ্ছে। এতে সমাজে বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারতে পালানোর পর থেকে হিন্দুত্ববাদী ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায় ‘গুজব বাহিনী’ গড়ে উঠে তোলা হয়েছে। তারা কখনো হাসিনার হয়ে কখনো দিল্লির হয়ে কখনো দেশের একাধিক রাজনৈতিক দলের হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। খুবই পরিকল্পিত এবং সুচিন্তিতভাবেই কখনো সংখ্যালঘু নির্যাতনের গুজব, কখনো অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে গুজব, কখনো প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের মধ্যে বিরোধের গুজব, কখনো ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে গুজব, কখনো মহামান্য প্রেসিডেন্টকে নিয়ে গুজব, বিভিন্ন সময় নানা ঢংয়ে ছড়ানো হয়। গুজববাজরা অনেকটা কবি শামসুর রাহমানের ‘কান নিয়েছে চিলে’ কবিতার মতোই গুজব ছড়াচ্ছে এবং এক শ্রেণীর মানুষ সেটাকে ইস্যু করে প্রচার প্রচারণায় শরীক হয়ে লাইক, শেয়ার ও মন্তব্য জুড়ে দিচ্ছেন। এই গুজব বাহিনীর সর্বশেষ টার্গেট ছিল সেনাবাহিনী।

৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সেনাবাহিনীর সাবেক ১০ জন এবং বর্তমানে কর্মরত ১৫ জন মোট ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। চিহ্নিত কিছু গুজববাজ কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ইউটিউবার, বিদেশে অবস্থানরত কয়েকজন সাংবাদিক, ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও দেশের একাধিক রাজনৈতিক দলের বট বাহিনী ফেসবুক, ব্লগ, টুইটার, ইউটিউবার প্রচারণা চালায় অন্তর্বর্তী সরকার আর সেনাবাহিনী মুখোমুখি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কয়েকজন সেনা সদস্যকে আসামী করায় সেনাবাহিনী ক্ষেপে গেছে। যে কোনো সময় দেশে অঘটন ঘটে যেতে পারে। ভারতীয় এজেন্ডায় ছড়ানো এ গুজব প্রচার করে গুজববাজরা ধরা খেয়েছেন। গুজববাজদের মুখে ছাই দিয়ে গত শনিবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস এ-তে এক সংবাদ সম্মেলন করে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানা এখনো তাঁদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। তবে গণমাধ্যমের খবর সেনা সদরের নজরে এলে এক আদেশের মাধ্যমে চাকরিরত ১৫ জন এবং এলপিআর ভোগরত ১ জনসহ মোট ১৬ কর্মকর্তাকে ৯ অক্টোবরের মধ্যে সেনা হেফাজতে আসতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এলপিআর ভোগরত কর্মকর্তাসহ ১৫ জন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেনা হেফাজতে আসেন। সেনাবাহিনীর এই স্মার্ট সিদ্ধান্তের গুজববাজদের দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টির স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায়।

সেনাবাহিনী একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ। দেশের প্রতিটি সংকটময় মুহূর্তে সেনাবাহিনী এগিয়ে এসেছে। বিশাল সংখ্যার সেনাবাহিনীতে কয়েকজন কর্মকর্তার অপরাধের দায় কখনো সেনাবাহিনী নেয়নি। এবারও নিচ্ছে না। সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেছেন, সংবিধান স্বীকৃত বাংলাদেশের সব আইনের প্রতি সেনাবাহিনী শ্রদ্ধাশীল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ও সেনা আইন মুখোমুখি নয়। একটা বনাম আরেকটা এই দৃষ্টিভঙ্গিতে এটা দেখা উচিত হবে না। সেনাবাহিনী দ্ব্যর্থহীনভাবে বিচারের পক্ষে অবস্থান করে। সেনাবাহিনী ন্যায়বিচারের পক্ষে। আমরা বিশ্বাস করি, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। গুমের শিকার পরিবারগুলোর প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।

ভারতের অ্যাজেন্ডা বস্তবায়নে ভার্চুয়াল এ মিডিয়াগুলো এখন যেন গুজবের কারখানায় পরিণত হয়েছে। মনস্টার হাসিনা যেমন ১৪০০ ছাত্রজনতাকে হত্যা করে পালিয়ে দিল্লি যাওয়ার পর থেকে পাচার করা অর্থ ব্যয়ে বট বাহিনী গঠন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে; তেমনি ভারতের কিছু গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কন্টেইন ক্রিয়েটর অন্তর্বর্তী সরকার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে নির্বাচন হলে ক্ষমতায় যেতে পারবে না দেশের এমন রাজনৈতিক দল। তারা কখনো আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে দিল্লির এজেন্ডা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন, গণভোট ইত্যাদির ইস্যুতে মাঠ গরম করছে। পাশাপাশি তারাও দেশ-বিদেশে বিশাল বট বাহিনী তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের পক্ষে এবং প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। এটা করতে গিয়ে তারা কার্যত আইনের শাসন, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। এদের সঙ্গে আবার কয়েকটি জনসমর্থনহীন রাজনৈতিক দল কেউ বুঝে কেউ না বুঝেই এ স্রোতে গা ভাসিয়েছেন। ভারতের ফাঁদে পা দিয়ে তারা গুজবের ডালপালা পরিকল্পিতভাবে চারদিকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। দেশে ‘জরুরি অবস্থা জারি’ পরিশুদ্ধ (রিফাইন্ড) আওয়ামী লীগের আবির্ভাব, ক্যান্টনমেন্টে গোপন বৈঠক, অমুক নেতাকে গ্রেফতার, তমুক দলের জোট ইত্যাদি ‘ফেইক’ তথ্য দিয়ে টাটকা শয়তানের মতো গুজব ছড়াচ্ছে। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে মব জাস্টিসের মাধ্যমে মানুষকে পিটিয়ে হত্যার পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া এখন যাপিত জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী। মানুষের মধ্যে কানেক্টিভিটি, শিক্ষা, জনমত গঠন, তথ্য আপডেট, পণ্যের প্রচারণা, সচেতনতা তৈরি করে জীবন-মান উন্নতকরণ, বিজনেসের প্রসার ইত্যাদি পজেটিভ কর্মকা- পরিচালিত হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিটি আন্দোলনে জনমন সৃষ্টিতে সোশ্যাল মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু সেটার বদলে এই মিডিয়ার অপব্যবহার সাইবার গু-ামি, হ্যাকিং প্রতারণা এবং গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা পালানোর পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়াকে কার্যত গুজবের কারখানায় পরিণত করা হয়েছে।

দিল্লিতে নিরাপদে থেকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা, হিন্দুত্ববাদী ভারত এবং দেশের কিছু জনসমর্থনহীন রাজনৈতিক শক্তি আসন্ন নির্বাচনে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বাধার সৃষ্টি, সেনাবাহিনী, অন্তর্বর্তী সরকার এমনকি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বট বাহিনী মাঠে নামিয়েছে। তারা পরিকল্পিতভাবে একের পর এক গুজব ছড়াচ্ছে। আসন্ন নির্বাচন বিলম্বিত করতে নতুন নতুন ইস্যু সৃষ্টি করছে এবং সেটা নিয়ে দেশি-প্রবাসী বট বাহিনীকে গুজব ছড়ানোর প্রচারণায় নামাচ্ছেন। আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গুজব বাহিনীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রচারণা চালাচ্ছে এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক নেটিজেন লিখেছেন, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি মাঠে মারা যাওয়ায় অনেকেই নির্বাচন পেছাতে আইন-শৃংখলার অবনতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর দূরত্ব সৃষ্টির চেষ্টায় গুজব ছড়াতে পারে। কেউ লিখেছেন, নির্বাচন যখন দরজায় কড়া নাড়ছে এবং মানবতা বিরোধী শত শত মামলার কার্যক্রম শুরু হয়নি তখন ভোটের আগে সেনাবাহিনী বিক্ষুব্ধ হতে পারে এমন মামলাকে অধিক গুরুত্ব দেয়ার রহস্য কি? কেউ লিখেছেন, কুড়িগ্রামের বড়াই বাড়ির ঘটনার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ভারত ভালচোখে দেখে না। ২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে সেনা হত্যা তার প্রমাণ। তাছাড়া আরাকান আর্মিকে করিডোর দেয়ার বিরোধিতা করেছে সেনাবাহিনী; এটা যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত পছন্দ করেনি। অন্যদিকে বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা বিভিন্ন দলের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করছে। আবার রিফাইন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হচ্ছে। এ সবই কি আসন্ন নির্বাচনের পরিবেশ বিঘিœত করার চেষ্টা?

নেটিজেনদের কেউ কেউ এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলামের মামলার আসামী সেনাসদস্যদের গ্রেফতারের দাবি, বিএনপির বিবৃতি এবং একদিন পর জামায়াতের বিবৃতি নিয়েও মন্তব্য করেন। ১১ জুলাই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে, দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ন্যায়বিচার শুধু অতীতের ঘটনাগুলোর শাস্তির নিশ্চয়তা দেয় না, বরং ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন অন্যায়ের পুনরাবৃত্তি না ঘটায়, সেই নিশ্চয়তাও দেয়। আইন ও মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধাই হতে পারে একটি শান্তিপূর্ণ, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি। একটি দেশের চলা উচিত ‘ল অফ দ্যা ল্যান্ড’ অনুযায়ী। কিছু চিহ্নিত ব্যক্তির দায় যেমন কোনো প্রতিষ্ঠানের উপর চাপানো উচিত নয়, তেমনি তাদের অপকর্মের কারণে সেই প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করাও অনুচিত। গতকাল জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করায় সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িত সেনাবাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির অপরাধের কারণে পুরো প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত হতে দেওয়া যায় না। অপরাধের দায় শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপরই বর্তাবে’।

সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে গতকাল এক স্ট্যাটাস দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, ‘শনিবার রাতে আর্মির বিরুদ্ধে মাদরাসার শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষকে নেমে আসার আহ্বান করেছেন কেউ কেউ। যারা এই আহ্বান করেছেন, তারা কিন্তু বলেননি, আমি লাগেজ নিয়ে রওনা দিয়েছি, বিমানে উঠেছি, দেশমাতৃকাকে রক্ষা করতে সেনাবাহিনীর এপিসির সামনে শুইয়ে দেশকে ক্যু থেকে বাঁচাতে রওনা দিয়েছি। এসব গুজবে কান দিয়ে যদি সত্যিই কতিপয় মাদরাসার শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ কিংবা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী রাজপথে নেমে এসে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি রক্ষার জন্য টহলরত সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রতিরোধ করার উদ্যোগ নিতো, তখন কী পরিবেশ তৈরি হতো? আমি স্রেফ বলি, যারা সারাক্ষণ বলে ক্যু চায় না, ক্যু চায় না। এরাই মূলত জনগণকে উস্কানি দিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে ক্যু তৈরির বা ১/১১ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তিনি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার দিকে আঙুল তুলে বলেন, এর পেছনে কাজ করছে ভারতীয় ‘র’। ‘র’- এজেন্টরা এমনভাবে খেলছে যে, খালি চোখে মনে হতে পারে, এরা আপনার পক্ষে কথা বলছে, কিন্তু এরা বাস্তবে আপনাকে দিয়ে আত্মঘাতী কাজ করিয়ে ক্যু এর প্রেক্ষাপট তৈরি করতে চায়। এটাই ভারতীয় প্ল্যান। সুতরাং কারও পাতানো ফাঁদে পা না দিয়ে, নিজেই সত্যমিথ্য যাচাই-বাছাই করতে শিখুন।’

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, অপরাধ যেই করুক তার বিচার হওয়া উচিত। বিগত দিনে সেনাবাহিনীর অভিযুক্ত সদস্যের বিচার সিভিল আদালতে হয়েছে। এবারও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত সাবেক ও বর্তমান সেনা সদস্যদের বিচার হবে। নানা গুজবের মধ্যেও সেনাবাহিনী অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি নেয়ায় সহায়তা করছে। এতে সেনাবাহিনীর সম্মান বাড়বে এবং সেনাপ্রধান হিসেবে ওয়াকার উজ জামান প্রশংসিত হবেন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button