ড্রাগন বাগানে আলোর ঝলকানি, দেড় বিঘায় ৫৫০টি বৈদ্যুতিক বাতি, ভিড় করছেন উৎসুখ মানুষ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে ড্রাগন চাষ। এ জন্য বাগানে স্থাপন করা হয়েছে শত শত বাতি। সন্ধ্যার পর বাতির ঝলকানি দেখতে ভিড় করছেন উৎসুখ মানুষ।
বাড়তি ফলনের আশায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই প্রথম দেড় বিঘা জমিতে এ পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ করেছেন কৃষক রেহমানুল কবির (রাজু)। জানা যায়, ২০২১ সালে উপজেলার তালসার সড়কের পাশে ড্রাগন বাগানটি করা হয়। সন্ধ্যা হলেই বৈদ্যুতিক বাতিগুলো জ্বলে উঠছে বাগানে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় তারারমেলা। যা দেখতে প্রতিনিয়ত মানুষ আসছে বাগানে। কেউ শেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন এ চাষ পদ্ধতি। চাষি রেহমানুল কবির বলেন, ২০১৮ সালে মাত্র ১৫ কাঠা জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেছিলাম। বর্তমানে ১০ বিঘায় ড্রাগন আছে। এক বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষে ব্যয় হয় ৩ লাখ টাকা। বৈদ্যুতিক পদ্ধতিতে চাষ করতে ব্যয় হবে অতিরিক্ত আরও ২ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, সাধারণত কৃষক ছয় মাসে ফল উৎপান করে। বৈদ্যুতিক পদ্ধতিতে চাষ করলে দুই বা তিন মাসে ফল উৎপাদন করা সম্ভব। তিনি বলেন, দেড় বিঘা জমিতে ১৭০০ ড্রাগন গাছ রয়েছে। খুঁটি আছে ৪৩০টি। চার ফুট ব্যবধানে বৈদ্যুতিক বাতি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই বাগানে ৫৫০টি বাতি আছে।