Bangladesh

মানবিক বিপর্যয়ের মুখে কারাগার

নারী বন্দিদের জন্য নেই কোনো গাইনি চিকিৎসক ১৩টি কেন্দ্রীয় ও ৫৫টি জেলা কারাগারসহ ৬৮ কারাগারে ১৪১টি চিকিৎসক পদের বিপরীতে রয়েছে ৬ জন চিকিৎসক বন্দিদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং সমাজে পুনর্বাসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ চলমান রয়েছে : কারা মহাপরিদর্শক এ এস এম আনিসুল হক :: দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন না থাকায় বিচার চলা অবস্থায় এক-তৃতীয়াংশ বন্দি কারাভোগ করেন : ড. শাহদীন মালিক :: নতুন কারাগার নির্মাণসহ কয়েকটি কারাগার পুনঃনির্মাণ ও সংস্কারের কাজ চলছে : সহকারী কারা মহাপরিদর্শক মো. মাইন উদ্দিন ভূইয়া

ছোট্ট একটি কক্ষ। এর মধ্যে রাখা হয়েছে ৪০ জন বন্দি। এতোগুলো মানুষের জন্য বরাদ্দ একটি শৌচাগার। পুরো একটি সেলের তিনশ’-চারশ’ বন্দির জন্য গোসলখানাও একটি। সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং দুপুর ২টা থেকে ৪টা নির্দিষ্ট সময়ে সুযোগ মেলে গোসলের। গোসল এবং টয়লেটের জন্য প্রতিদিন লম্বা লাইন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর কখনো এক মগ কিংবা দুই মগ পানি মেলে গোসল ও কাপড় ধোয়ার জন্য। গত ২৮ জানুয়ারি মুক্তির পর কারাগার নিয়ে এমনই ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে যাওয়া এক শিক্ষার্থী যুবক।

সবার অজান্তে দেশের কারাগারগুলোতে ঘটছে কার্যত মানবিক বিপর্যয়। ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দি রাখায় তাদের ঘুমাতে হয় ইলিশ ফাইল, কেচি ফাইল করে। ইলিশ ফাইল হলো ইলিশ মাছের মতোই একদিকে কাত হয়ে ঘুমানো। ঘুমের মধ্যে এপাশ ওপাশ করার জায়গা থাকে না। কেজি ফাইল হলো জায়গার অভাবে একজনের পায়ের ভিতরে আরেকজন পা দিয়ে ঘুমানো। মূলত থাকার জায়গার সঙ্কট, মানহীন খাবার, উপযুক্ত চিকিৎসাসহ সকল ধরনের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত উঁচু দেয়ালে ঘেরা কারা বন্দিদের জীবন। ইঞ্চি মাপা জায়গায় দ্বিগুণ বন্দির চাপ যেন তাদের আরো অমানবিক করে তুলে। গোসল ও টয়লেটের জন্য দীর্ঘ লাইন, প্রয়োজনীয় পানি না পাওয়া, সুষম খাবারের অভাব সব মিলিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন বন্দিরা। দেশের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শুরু করে জেলা কারাগারগুলোতে একই চিত্র।

চার দেয়ালের মাঝে অধিকাংশ সময়ে গ্রীলের ভেতর এসব বন্দিদের মনটাই কেবল স্বাধীন। কিন্তু অমানবিক পরিস্থিতিতে বোবা কান্নায় কেটে যায় তাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত।
জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক বলেন, কয়েদি বন্দি থেকে হাজতি বন্দি কয়েকগুণ বেশি। বর্তমানে কয়েদি বন্দি প্রায় বিশ হাজারের মত থাকে আর হাজতি প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ হাজার। কারা সংশোধনের অংশ এবং মানবিকতার বিষয়ে বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই বন্দিদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন থেকে শুরু করে তাদেরকে সমাজে পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ চলমান রয়েছে। কারাবন্দিদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ মনোযোগী। এছাড়া প্রায় ৫ হাজার জনবল পাইপলাইনে রয়েছে রিক্রুট করার জন্য।

অনুসন্ধান করে, খোঁজ-খবর নিয়ে এবং সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে ভয়াবহ চিত্র জানা যায়। দেশের কারাগারগুলো কার্যত হয়ে উঠেছে কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের বন্দিশিবির। আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে পশু-পাখির চেয়েও খারাপভাবে বসবাস করতে হয়। এমনিতেই সারা বছর ঠাসা থাকে দেশের কারাগারগুলো। এর পরে গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে আন্দোলনে বিএনপির ২০ থেকে ২২ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে নেয়া হয়। এ অবস্থায় গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে বন্দির সংখ্যা ছিলো কারাগারে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি। কোথাও কোথাও কয়েকগুণ বেশি। নির্বাচনের পর হাজতি বন্দির সংখ্যা কিছু কমলেও এখনো ঠাঁই নেই কারাগারে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশিরভাগ বন্দি। সুস্থ জীবনে কারাগারে গেলেও ফিরছেন জটিল সব রোগ নিয়ে। সুস্থ শরীরে একজন মানুষ কারাগারে প্রবেশের পর কয়েকদিনের ব্যবধানেই নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হন। অথচ সেখানে নেই উপযুক্ত চিকিৎসা ও চিকিৎসক। জেল জীবন থেকে মুক্ত হবার পর অনেক দিনই তার কেটে যায় সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারাগারের একজন চিকিৎসক বলেন, কারাগারে আলো-বাতাস কম পাওয়ায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন বন্দিরা। দেশের ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগারসহ ৬৮ জেলা কারাগারের জন্য ১৪১টি চিকিৎসক পদের বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ৬ জন। ফলে বন্দিরা যথাযথ চিকিৎসাসেবা পান না। চুলকানি, জ্বর, কাশিসহ ছোটখাটো রোগ বালাই তাদের নিত্যদিনের সমস্যা। অনেকেই জটিল রোগেও আক্রান্ত হন। ‘ভিআইপি’ বন্দিরা কারাগারের বাইরে কিছু হাসপাতালে সেবা নিতে পারেন। নারীদের চিকিৎসার জন্য কারাগারে গাইনি চিকিৎসক নেই।

কারা সংশ্লিষ্টরাও এসব বিষয়গুলো স্বীকার করে বলেন, সেই ১৮৬৪ সালের ব্রিটিশ জেলকোড অনুযায়ী এখনো সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন বন্দিরা। ৩৬ স্কয়ার ফিট বা ৬ ফিট বাই ৬ ফিট জায়গা বরাদ্দ একজন বন্দির জন্য। কিন্তু বন্দি দ্বিগুণ হলে সেই জায়গায়ও অর্ধেকে সংকুচিত হয়।

জানতে চাইলে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ড.শাহদীন মালিক বলেন, যে কোনো গণতান্ত্রিক ও আইনের শাসন থাকা দেশে অভিযুক্ত ব্যক্তি বিচার শেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে কারাভোগ শুরু করেন। অথচ বাংলাদেশে এক-তৃতীয়াংশ বন্দি বিচার চলা অবস্থায় কারাভোগ করেন। এটা আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে মেনে নিই। কারণ, এ দেশে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই বললেই চলে।

কারা সূত্র জানায়, দেশে ১৩টি কেন্দ্রীয় ও ৫৫টি জেলা কারাগার মিলিয়ে মোট কারাগারের সংখ্যা ৬৮টি। সবগুলো কারাগার মিলিয়ে বন্দির ধারণক্ষমতা সর্বসাকুল্যে ৪২ হাজার ৮৬৬ জনের। অথচ অধিকাংশ সময়ই বন্দি থাকে প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি। গত ৩১ জানুয়ারি (বুধবার) সারাদেশে বন্দি ছিলো ৭৩ হাজার ৫৬৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ বন্দি ছিলো ৭০ হাজার ৬৬৫ এবং নারী বন্দি ছিলো ২৯০৩ জন। এ দিন সব থেকে বেশি বন্দি ছিলো (৮৭৮৫ জন) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানিগঞ্জ) এবং সব থেকে কম বন্দি ছিলো ঝালকাঠিতে। সেখানে বন্দি ছিলো ১৯৬ জন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ ইনকিলাবকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জেলখানায় মোট বন্দি ছিলো ৮ হাজার ৯২০ জন। অথচ এখানে বন্দির ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ৫৯০ জন। জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো কোনো সময় সেখানে ১০ হাজারেরও বেশি বন্দি ছিলো। ৫ নভেম্বর বন্দি ছিলেন ১০ হাজার ৮০৯ জন। বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের আগের দিন থেকে পরবর্তী ৬ দিনে আদালত থেকে সেখানে ৩ হাজার ২৫০ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। এঁদের বেশির ভাগই রাজনৈতিক মামলার আসামি।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি ধারণক্ষমতা এক হাজার। কর্তৃপক্ষ বলছে, হাই সিকিউরিটি কারাগারের একেকটি সেলে একজন করে বন্দি থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে আছে দ্বিগুণের বেশি। তাই একেক সেলে দু-তিনজন করে রাখতে হচ্ছে। নারী বন্দিরাও রয়েছেন চরম দুর্দশায়। কাশিমপুর মহিলা কারাগারের ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ বন্দি সেখানে।

বন্দিসহ কারা কর্তৃপক্ষও স্বীকার করে বলেন, মূলত থাকার জায়গা সঙ্কট, টয়লেট ও গোসলের সমস্যাই বন্দিদের সব চেয়ে বড় কষ্ট।
ময়মনসিংহের শেরপুরে রয়েছে ১০ জন নারী এবং ৯০ জন পুরুষের জন্য কারাগার। এখানের এই ১শ’জন ধারণক্ষমতার কারাগারে ১ ফ্রেব্রুয়ারি বন্দি ছিলো ৪৪৩ জন। এর মধ্যে ১৫ জন নারী। শেরপুর কারাসূত্র জানায়, নির্বাচনের আগে এখানে ৬শ’র ওপর বন্দি ছিলো।

খুলনা জেলা কারাগারের ১৮ জন নারী এবং ৬৬০ জন পুরুষসহ বন্দির ধারণক্ষমতা ৬৭৮ জন। অথচ গত শনিবার সেখানে বন্দি ছিলো ১২৯০ জন।

ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দিতে বেহাল অবস্থা চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের। সেখানের কর্মকর্তারা জানান, গত শুক্রবার মোট বন্দির সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার ৩০০ জন। অথচ কারাগারের ধারণ ক্ষমতা দুই হাজার ৪৯ জন। এতো বিপুল সংখ্যক বন্দি সামাল দিতে কারা কর্তৃপক্ষ রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে। জানা গেছে, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণহারে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের অনেকেই এখনো কারাবন্দি। আদালতে জামিনের পরও অনেক নেতাকর্মীকে অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এর ফলে কারাগারে আটক বন্দির সংখ্যা কমছে না। কারাগারের ভেতরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বন্দিরা। সিলেট কারাগারে ২ হাজার বন্দির ধারণক্ষমতার বিপরীতে গতকাল বন্দি ছিলো ২ হাজার ২শ’ ৩ জন। কুমিল্লা কারাগারে ১৭৪২জন ধারণক্ষমতার বিপরীতে গত শনিবার বন্দি ছিলো ১৯৩১ জন।

কারাবিধি অনুযায়ী, কারাগারগুলোতে একজন বন্দির থাকার জন্য ন্যূনতম ছয় ফুট করে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের জায়গা থাকতে হয়। কিন্তু কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দি রাখতে হয় বলে তারা কারাবিধি মানতে পারেন না। কারাগারে সেটা মানা সম্ভব হয় না। কারণ কখনো কখনো রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে বন্দির সংখ্যা বেড়ে যায়।

কারাগারের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে গত ২৮ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পাওয়া এক যুবক বলেন, তিনি একজন কলেজ শিক্ষার্থী। পাশাপাশি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। গত ৩০ নভেম্বর ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে ধাওয়া করে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানিগঞ্জ) মেঘনা ৫এর ৩ নম্বর সেলে পাঠানো হয়। সেখানে একটি কক্ষে তাকেসহ ৪০ জন বন্দি রাখা হয়। ৬ তলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে লক। বিরোধী দলের (বিএনপি) নেতা-কর্মীদের রাখা ওই সেল থেকে বাইরে যেতে দেয়া হয়নি। সকলের জন্য একটি শৌচাগার। গোসলের জন্য নির্ধারিত সময়। পানির বড়ই কষ্ট। তিনি বলেন, স্বজনদের সঙ্গে ১৫ দিনে মাত্র একবার সাক্ষাতের সুযোগ মেলে তার। এভাবে একমাস কেটে যাবার পর তাকে পাঠানো হয় কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে। সেখানের জেলখানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টয়লেটে যেতে দীর্ঘ লাইন। সবচেয়ে আশ্চর্য্যরে বিষয় হচ্ছে, টয়লেটে বসে অনেক বন্দি নেশা করে, মাদক নেয়। অপরদিকে বাইরে লাইনে অপেক্ষা করতে হয় টয়লেট যাওয়া বন্দিদের। এ অমানবিক কষ্টের কথা বোঝানো সম্ভব নয়। সেখানের অসাধু কারারক্ষীরা বন্দিদের মাদক সাপ্লাই দেয় ঘুষের বিনিময়ে।

সূত্র জানায়, কারাগারগুলোতে হাজতি অর্থ্যাৎ যাদের মামলার বিচার শেষ হয়নি এরকম বন্দি বেশি। যা গড়ে মোট বন্দির ৭৫ শতাংশ। বিচার দীর্ঘ সময় ধরে চললেও অনেকে কারাগারে আটকে থাকেন। জামিন পান না। কারাগারে যথেষ্ট সংখ্যক কারারক্ষী না থাকায় শৃঙ্খলা রক্ষা করাও কঠিন। ৬৮টি কারাগারে চিকিৎসক মাত্র ৬ জন। ফলে বন্দিদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। তবে প্রভাবশালী বন্দিরা অবশ্য চিকিৎসার জন্য দিনের পর দিন হাসপাতালে থাকার সুযোগ পান।

অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল শেখ সূজাউর রহমান বলেন, ১৩৬ বছরের পুরোনো কারা আইন সংশোধনের জন্য আমরা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কারাগারগুলো দেখেছি। সেখানে একজন বন্দি যেসব সুবিধা পান, ঠিক সেভাবেই আমাদের কারা আইন সংশোধনের জন্য খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্তমানে খসড়া আইনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এটি অনুমোদন হলে জেল কোডের কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আসবে। এই আইন কার্যকর হলে বন্দিরা স্বাস্থ্যগত কারণে মুক্তির সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি তাদের প্যারোলে মুক্তির সময়সীমা বৃদ্ধি হবে। এ ছাড়াও বন্দিদের শ্রেণিবিন্যাস, পোশাক-পরিচ্ছেদ, কর্মসংস্থানেও পরিবর্তন আসবে। মোট কথা এই আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে কারাগার হয়ে উঠবে বন্দিদের সংশোধনাগার।

ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, হাজতিদের জন্য কারাগারে যে বরাদ্দ থাকে একেবারেই অপর্যাপ্ত। যেটুকু আছে সেটুকুর আবার সঠিক ব্যবস্থাপনা নেই। রাষ্ট্রীয় কিছু কর্মচারীর কারণে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বন্দিরা।

জানতে চাইলে সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. মাইন উদ্দিন ভূইয়া ইনকিলাবকে বলেন, খুলনা ও নরসিংদীতে কারাগার নির্মাণসহ কুমিল্লা, জামালপুর ও ময়মনসিংহে পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার করার কাজ চলছে। বন্দিদের বর্তমানে খবার তালিকার যা বরাদ্দ রয়েছে, যেমন মাছ ৩৬ গ্রামসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী অপ্রতুল। মাছ- গোশতসহ প্রয়োজনীয় আমিষ ও প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে খাবার মেনু বৃদ্ধিতে প্রস্তাবনা পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button