৬০ যাত্রীসহ বুড়িগঙ্গায় ওয়াটার বাসডুবি: ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
৬০ জন যাত্রীসহ রাজধানীর শ্যামবাজার থেকে কেরানীগঞ্জের তেলেঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ওয়াটার বাসডুবির ঘটনায় চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা নৌ পুলিশের। ওয়াটার বাসডুবির ঘটনায় নৌ পুলিশের পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড।
ঘটনায় ৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার ৬ জন জীবিত বাকি এক শিশুসহ ৪ জন মৃত। আহতদের উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিডফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে নৌ-পুলিশ। কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবরিদের সমন্বয়ে ৫ ঘণ্টা ধরে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রীসহ ওয়াটার বাসটি ডুবে যায়। অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও এখন পর্যন্ত ২৫ থেকে ৩০ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে।
এদিকে ওয়াটার বাসডুবির ঘটনায় স্বজন হারানোর শঙ্কায় রাতে বুড়িগঙ্গার তীরে ছুটে এসেছেন অনেকে। তারা ঘাটে অবস্থান করছেন।
উদ্ধার অভিযানের ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন গণমাধ্যমকে জানান, উদ্ধার অভিযান চলছে। আমরা ওয়াটার বাসটিকে পানি থেকে ওঠানোর চেষ্টা করছি। ফায়ার সার্ভিস এখন পর্যন্ত তিনজনকে সচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ঠিক কতোজন নিখোঁজ হয়েছেন তা এ মুহূর্তে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। আমরা জেনেছি যে, ওয়াটার বাসটিতে ৪০-৫০ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনাটি নদীর তীরের কাছাকাছি জায়গায় হওয়ায় অনেক যাত্রীই সাঁতরে তীরে উঠে যেতে পেরেছেন বলে শুনেছি।
সদরঘাট নৌ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘রোববার (১৬ জুলাই) রাত সোয়া ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওয়াটার বাসটিতে কী পরিমাণ যাত্রী নিখোঁজ আছে, তা জানা নেই। রাত ৯টায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। এ ঘটনায় বাল্কহেডটি আটক করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বি আই ডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলপরিদর্শন করছি। ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড, ডুবরীরা একসঙ্গে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন মৃত। বাকিদের মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’