International

৬৫ বছর পর কিউবা–দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন

৬৫ বছর পর দক্ষিণ কোরিয়া ও কিউবার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হলো। এর আগে ১৯৫৯ সালে দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হয়।

কিউবার পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে পুনরায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কিউবা ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হলো।

উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র কিউবা। ১৯৪৯ সালে প্রথম সিউল ও হাভানার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। পরে কিউবায় বিপ্লব হয়। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন তৎকালীন কমিউনিস্ট নেতা ফিদেল কাস্ত্রো। ১৯৫৯ সালে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এরপর কিউবা কমিউনিস্ট দেশ উত্তর কোরিয়ার দিকে কূটনৈতিক সম্পর্কের হাত বাড়ায়।

কিউবার গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল পলিসি রিসার্চ সেন্টারের ২০২১ সালের এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, কয়েক দশক ধরে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকার পরও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়া ও কিউবার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেশ জোরলো হয়েছে। গাড়ি, ইলেকট্রনিক পণ্য ও মুঠোফোন আমদানি–রপ্তানিতে বেশি জোর দিয়েছে দেশ দুটি।

এ সমীক্ষা থেকে আরও জানা যায়, ২০০৫ সালে কিউবায় দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বাণিজ্যবিষয়ক বিনিয়োগ দপ্তর খোলা হয় এবং কিউবাকে সাত কোটি ডলারের লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) বা গুচ্ছ ঋণ দেওয়া হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দুই কোরিয়া ভাগ হয়ে যায়। বিভক্ত দুই কোরিয়ার বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কিউবা সব সময় আলোচনার ওপর জোর দিয়ে এসেছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উওর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন দক্ষিণ কোরিয়াকে তাঁর দেশের ‘প্রধান শত্রু’ বলে অভিহিত করেছেন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button