Science & Tech

ওড়ার অনুমতি পেল যুক্তরাষ্ট্রের উড়ন্ত গাড়ি

২০২৫ সালের শেষ নাগাদ গ্রাহকদের কাছে এই উড়ন্ত গাড়ি সরবরাহ করতে শুরু করবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান

যুক্তরাষ্ট্রের আলেফ অ্যারোনটিকসের উড়ন্ত গাড়িটি এবার ওড়ার অপেক্ষায় আছে। সম্প্রতি গাড়িটি ওড়ার জন্য মার্কিন সরকারের কাছ থেকে আইনি অনুমোদন পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাভিয়েশন বিভাগের আইনি প্রতিষ্ঠান অ্যারো ল সেন্টারের বরাত দিয়ে গাড়িটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ঘোষণা দিয়েছে, তাদের উড়ন্ত গাড়ি ওড়ার জন্য ইউএস ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) কাছ থেকে বিশেষ সনদ পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এটিই প্রথম কোনো উড়ন্ত গাড়ি, যেটি ওড়ার আইনি অনুমোদন পেল।

আলেফ অ্যারোনটিকস এক বিবৃতিতে বলেছে, গাড়িটির বৈদ্যুতিক উড্ডয়ন ও অবতরণের কৌশল নিয়ে এফএএ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এফএএর কাছ থেকে পাওয়া বিশেষ সনদে উড়ন্ত গাড়ির ওড়ার স্থান ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার সান মাতেওর ই উড়ন্ত গাড়ি শতভাগ বৈদ্যুতিক। গাড়িটি এক বা দুজন যাত্রী বহন করতে পারবে। সড়কপথে যানজট ও যেকোনো দুর্ঘটনার কারণে চলাচল থেমে গেলেও গাড়িটি উড়তে পারবে। তাই এটির দাম রাখা হয়েছে প্রায় তিন লাখ মার্কিন ডলার।

গত জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ব্যক্তি ও করপোরেট পর্যায়ের গ্রাহকদের কাছ থেকে ইতিমধ্যে তারা ৪৪০টির বেশি গাড়ির আগাম অর্ডার পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যাশা, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ গ্রাহকদের কাছে এই উড়ন্ত গাড়ি তারা সরবরাহ করা শুরু করতে পারবে।

আলেফ অ্যারোনটিকসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জিম দুখোভনি চলতি বছরের শুরুর দিকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইতিহাসের প্রথম উড়ন্ত গাড়ি সরবরাহ করার লক্ষ্য রয়েছে আলেফের। এত দ্রুত আগাম অর্ডার পাওয়ায় গাড়িটির বাজারের সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। তাঁরা গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করছেন।

আলেফ অ্যারোনটিকসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, এই উড়ন্ত গাড়ি নিয়মিতভাবে ‘শহর বা গ্রামীণ রাস্তায়’ চালানোর উপযোগী করে তৈরি করা হচ্ছে। এটি নিয়মিত পার্কিংয়ের জায়গায় ও গ্যারেজের ভেতর পার্ক করা যাবে। এটি কম গতির গাড়ি। রাস্তায় এটি ঘণ্টায় ২৫ মাইলের বেশি গতিতে চলাচল করতে পারবে না।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button