Science & Tech

যেভাবে এআই হয়ে উঠছে অপরাধীদের হাতিয়ার  

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহের সীমা নেই। এ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক কাজই সহজ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভবিষ্যতে এ এআই মানুষের জীবন আরও সহজ করে দেবে। আবার এ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সই হয়ে উঠছে অপরাধীদের হাতিয়ার।

সম্প্রতি এক গবেশনায় উঠে এসেছে, গ্রাহকের তথ্য চুরির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিপফেইক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিভিন্ন নতুন উপায় খুঁজছে অপরাধীরা, যেখানে জীবনমানের খরচ বৃদ্ধির বিষয়টিও প্রভাব রেখেছে বলে দাবি করছে জালিয়াত প্রতিরোধী এক সংগঠন। 

গত বছরজুড়েই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে জালিয়াতি বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়ে আসছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরিষেবা ‘সিফাস’-এর সদস্যরা।
এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইডি চুরির ঘটনাও বাড়তে দেখেছে সেবাটি, যার মধ্যে রয়েছে ফিশিং জালিয়াতি, ডিপফেইক ছবি, ভিডিও ও অডিও তৈরির মতো ঘটনা।

তাদের জালিয়াতিবিষয়ক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গত বছর সামগ্রিকভাবে সিফাসের ‘ন্যাশনাল ফ্রড ডেটাবেইজ (এনএফডি)’তে এ ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ এসেছে তিন লাখ ৭৪ হাজারের বেশি।
সিফাস বলেছে, তাদের সদস্যরা ২২৪ কোটি ডলারের জালিয়াতি ঠেকিয়েছে।

এর মধ্যে আইডি চুরি বা ‘আইডেন্টেটি থেফট’-এর অভিযোগই এসেছে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ (৬৪ শতাংশ)। ২০২৩ সালে এমন ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে দুই লাখ ৩৭ হাজারের বেশি।
সিফাসের তথ্য অনুসারে, জীবনমানের খরচ বৃদ্ধির চাপ সামলাতে নিজেদের সোশাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দক্ষতা বাড়িয়েছে অপরাধীরা। পরিচয় চুরির জন্য অপরাধীদের মূল লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকে বিভিন্ন প্রাইভেট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। 

সিফাসের সিইও মাইক হেইলি বলেন, গ্রাহকদের শিকার বানাতে বিভিন্ন নতুন ও পরিশীলিত উপায় খুঁজে দেখছে অপরাধীরা। উদাহরণ হিসাবে ধরা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, এআই ও ডিপফেইক প্রযুক্তি। ডেটা শেয়ারিং ও জালিয়াতি ঠেকানোর মতো বুদ্ধিমত্তা ও টেকসই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা এমন ঘটনা ঠেকাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button