International

‘ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আকুতি শুনছি, কিন্তু কিছুই করা যাচ্ছে না’: রাতভর আক্রমণে ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত, ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশ বের করছেন সাধারণ জনতা

গাজায় সোমবার রাতভর ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ৮০ জনে দাঁড়িয়েছে। হামাস পরিচালিত সরকারি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

রাফাহ ও খান ইউনিসে এসব বোমা হামলা চালানো হয়।

৫০০ শিশুসহ ১২০০ জনের মতো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা
গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে ইসরাইলি হামলায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছে ৫০০’র মতো শিশুসহ অন্তত ১২০০ ফিলিস্তিনি।

ধ্বংসস্তূপ থেকে পাওয়া আকুতি হিসাব করে তারা এ সংখ্যা ধারণা করছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, ধ্বংসস্তূপে আটকাপড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ জনগণই। 

‘ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আকুতি শুনছি, কিন্তু কিছুই করা যাচ্ছে না’
আহমদ শাহীন নামে গাজার একজন চিকিৎসক সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘খারাপ থেকে খারাপতর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

‘পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। ইসরাইলের বোমা হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে, থামছেই না। আকাশ, জল, স্থল- সব দিক থেকেই বোমা হামলা চালানো হচ্ছে,’ বসনিয়ান স্বাধীন খবরের ওয়েবসাইট ইস্ট্রাগাকে বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নিচে আটকাপড়া মানুষদের উদ্ধার করা যাচ্ছে না। তাদের চিৎকার করতে শুনছি, কিন্তু কিছুই করা যাচ্ছে না। হাসপাতালগুলো হতাহতদের দ্বারা ভরা। মর্গে লাশ রাখার জায়গা নেই। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বর্ণনা করার মতো নয়।’

‘কোনো পানি নেই, নেই কোনো বিদ্যুৎ। সবচেয়ে দুর্ভোগের বিষয় হলো পানি নেই, খাওয়ার মতো একফোঁটা পানিও নেই,’ বলেন তিনি।

গাজার শিফা হাসপাতালের সাধারণ পরিচালক মোহাম্মদ আবু সেলমিয়া মার্কিন গণমাধ্যম এপিকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকাপড়াদের বাঁচানোর আর্তনাদ শুনছেন। কিন্তু অনেক সময়ই কিছু করার থাকছে না।’

ইন্টারনেট-মোবাইল নেটওয়ার্কবিহীন গাজায় উদ্ধার তৎপরতাও ব্যাহত হচ্ছে। রয়েছে মারাত্মক জ্বালানি সঙ্কট।

জ্বালানি সঙ্কটের কারণে বন্ধ হাসপাতালের ইউনিট
জ্বালানি সঙ্কটের কারণে বন্ধ করে দিতে হয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার হাসপাতালের অনেক ইউনিট।

গাজার দক্ষিণাঞ্চল খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের চিকিৎসকরা কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, তাদের হাসপাতালের একটি পুরো ইউনিট প্রয়োজনীয় রসদ বিশেষত জ্বালানি সঙ্কটের কারণে বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

ফলে সেখানকার রোগীদের অন্য বিভাগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেখানে কিছু জ্বালানি এখনো রয়েছে। তবে সব ইউনিটই রোগীতে ঠাঁসা।

চিকিৎসক ইউমনা আলসাঈদ বলেন, এ উপত্যকার অধিকাংশ হাসপাতালের অবস্থাই একই।

ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে গোলাগুলি
ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে আবারো গোলাগুলি হয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের দিকে ট্যাংকবিধ্বংসী মর্টার সেল নিক্ষেপের পর তারাও পাল্টা দক্ষিণ লেবাননের দিকে সামরিক হামলা চালিয়েছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button