International

ইসরাইলি বাহিনীর আরো ইউনিটের ওপর অবরোধ আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র!

কেবল নেটজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়ন নয়, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এবং ইসরাইলি পুলিশ বাহিনীর আরো কয়েকটি ইউনিটের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাইডেন প্রশাসন চলতি সপ্তাহেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বলে দুটি মার্কিন সূত্র রোববার টাইমস অব ইসরাইলকে জানিয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক বছরের বেশি সময় ধরে নেটজাহ ইয়েহুদাসহ ইসরাইলি বাহিনীর আরো কয়েকটি ইউনিটের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে।

এর আগে খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে উগ্র ইহুদিদের নিয়ে গঠিত নেটজাহ ইয়েহুদা ইউনিটের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন অবরোধ আরোপের বাস্তব প্রভাব হবে খুবই সীমিত। কিন্তু এর তাৎপর্য হবে ব্যাপক। জানা গেছে, অবরোধ আরোপ হলে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো মার্কিন সামরিক সহায়তার আওতায় কেনা অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে না, মার্কিন তহবিলের কোনো প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তারা যোগ দিতে পারবে না।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছর সহিংস বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ শুরু করেছে। ফিলিস্তিনিদের অন্যায়ভাবে টার্গেট করা ইসরাইলি গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে অন্যান্য পাশ্চাত্য দেশও ব্যবস্থা নিচ্ছে।

ইসরাইলিরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে নিজেরাই নিজেদের অপকর্মের জন্য ফেঁসে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে গাজার ব্যাপারেও একইভাবে তারা ধরা খেতে পারে। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইসরাইলি সৈন্যরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এগুলো মানবাধিকার তো বটেই, ইসরাইলি বাহিনীর আচরণবিধিরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে দেখা যাচ্ছে।

তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহ সম্ভাব্য অবরোধ আরোপের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

নেটজাহ ইয়েহুদা ইউনিটটি গাজাতেও যুদ্ধ করছে।

উল্লেখ্য, নেটজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নটি অতি উগ্র ইহুদিদের নিয়ে গঠিত। তাদের হাতে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ৮০ বছর বয়স্ক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ওমর আসাদ মারা যান। এ ধরনের আরো কিছু ঘটনা এই বাহিনী ঘটিয়েছে।

আসাদকে রামাল্লার কাছে তার গ্রামে হঠাৎ স্থাপিত একটি চেকপয়েন্টে গ্রেফতার করা হয়। তাকে হ্যান্ডকাফ পরানো হয়, তার মুখে বাঁধা হয়। এপর সৈন্যরা মধ্যরাতে তাকে মাটিতে কয়েক ঘণ্টা ফেলে রাখে। পরে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

পরে এক তদন্তে ইসরাইলি বাহিনী জানায়, এটা ছিল একটি ‘বাহিনীটির নৈতিক ব্যর্থতা এবং সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করা। বিষয়টি মানুষের মর্যাদার ওপর মারাত্মক আঘাত ছিল।’

পরে নেটজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের কমান্ডারকে তিরষ্কার করা হয়, কোম্পানি কমান্ডার এবং প্লাটুন কমান্ডারকে বরখাস্ত করা হয়। তবে ঘটনার সাথে জড়িত সৈন্যদের কোনো শাস্তি ছাড়াই রেহাই দেয়া হয়।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল এবং জেরুসালেম পোস্ট

Show More

10 Comments

  1. I’m no longer sure the place you are getting your
    information, however good topic. I needs to spend
    some time learning more or understanding more.
    Thank you for fantastic information I was on the lookout
    for this information for my mission.

  2. Hello! I could have sworn I’ve visited this blog before but after
    going through a few of the posts I realized it’s new to me.
    Anyways, I’m definitely happy I found it and I’ll be book-marking
    it and checking back frequently!

  3. Hi friends, how is everything, and what you wish for to say on the topic of this paragraph, in my view its truly remarkable in support
    of me.

  4. My relatives every time say that I am killing my time here at net, but I know I am getting experience every day
    by reading such good content.

  5. Hello there, I discovered your blog via Google while looking for a comparable matter, your web site
    came up, it appears to be like great. I have bookmarked it
    in my google bookmarks.
    Hello there, just changed into alert to your blog via Google, and located that it’s truly informative.
    I am going to watch out for brussels. I will appreciate if you proceed this
    in future. Lots of folks will probably be benefited from your writing.
    Cheers!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button