জার্মানিতে দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে বিরোধীরা
জার্মানিতে ক্ষমতাসীন জোটে ভাঙ্গনের সুর উঠতেই দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিরোধী দলগুলো। দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস আগামী জানুয়ারিতে আস্থাভোট এবং মার্চের শেষের দিকে নির্বাচনের কথা বললেও বিরোধীশিবির তা মানতে নারাজ। তারা চান দ্রুত আস্থাভোট সম্পন্ন করে অবিলম্বে নির্বাচন দেয়া হোক। এ খবর দিয়েছে ডয়চে ভেলে।
এতে বলা হয়, প্রধান বিরোধী দল সিডিইউ-এর নেতা ফ্রিডরিখ মেরজের সঙ্গে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের বৈঠক হয়েছে। শলৎসই এই আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আলোচনা সফল হয়নি। তারপর মেরজ জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের মধ্যে একঘণ্টা ধরে কথা হয়। মনে করা হচ্ছে, স্টাইনমায়ারের সঙ্গে মেরজের আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। আরেক বিরোধী দল এএফডি-ও অবিলম্বে নির্বাচন চেয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
প্রেসিডেন্ট স্টাইনমায়ার এফডিপি’র তিন মন্ত্রীকে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছেন। একদিন আগেই চ্যান্সেলর শলৎস এফডিপি নেতা ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারকে বরখাস্ত করেন। তারপর এফডিপি’র দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। পরিবহনমন্ত্রী ফলকার উইসিংকে এফডিপি পূর্ণ মন্ত্রী করেছিল। তবে তিনি দল ছেড়েছেন। তাকে এখন শলৎস বিচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন।
শলৎস এখন ইউরোপীয় নেতাদের শীর্ষবৈঠকে যোগ দিতে বুদাপেস্টে গেছেন। তার সফরসঙ্গী ডয়চে ভেলের রাজনৈতিক সংবাদদাতা ম্যাথিই মুর জানিয়েছেন, চ্যান্সেলর শলৎসকে অনেকটাই ভারমুক্ত লাগছে। তবে এখন তার কর্তৃত্ব কতটা টিকে থাকবে, তা প্রশ্নহীনভাবে বলা কঠিন।
এসপিডি নেতা ওলাফ শলৎস এফডিপি নেতা লিন্ডনারকে বরখাস্ত করার পর পার্লামেন্টে আইন পাস করার গরিষ্ঠতাও হারিয়েছেন। এক্ষেত্রে জার্মানির চ্যান্সেলরের মত হচ্ছে নির্বাচন হবে আগামী মার্চের শেষের দিকে। কিন্তু স্থায়িত্বের প্রশ্ন তুলে বিরোধী নেতা মেরজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন চান। জানা গেছে, মেরজ শলৎসকে বলেছেন, এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও তার সঙ্গে বৈঠক করবেন না। কিন্তু শলৎস অবিলম্বে নির্বাচন চাইছেন না। তিনি একটু সময় নিয়ে তার দলকে সংগঠিত করে নির্বাচনে যেতে চান।