Hot

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ আজ, করের লক্ষ্যে উচ্চাভিলাষ

পৌনে পাঁচ লাখ কোটি টাকার বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেট আজ জাতীয় সংসদে পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার প্রথম বাজেটেই সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়বে। এদিকে টানা মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকৃত আয় কমছে মানুষের। এর মধ্যে নতুন করে করের বোঝা যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়াবে। নতুন বাজেটে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। এটি করতে গিয়ে প্রবৃদ্ধির পথ সংকুচিত করা হয়েছে। ফলে উচ্চ প্রবৃদ্ধির স্বপ্ন দেখছেন না তিনি। তাই প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশের ঘরে রাখা হচ্ছে। তবে চলতি বছরের মতো আগামী বাজেটেও থাকছে আইএমএফ’র শর্তের প্রতিফলন। চাপে থাকা সামষ্টিক অর্থনীতি ও বিদ্যমান চ্যালেঞ্জের পরও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যয়ের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি।

সূত্রমতে, আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি ছাড়াও ‘সবার জন্য খাদ্য’, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি অর্জন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। অগ্রাধিকারের তালিকায় প্রতিটি গ্রামকে আধুনিকায়নকরণ, ডিজিটাল স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, ফাস্ট ট্র্যাক অবকাঠামো প্রকল্প গুরুত্ব দেওয়া, জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণ। মূল্যস্ফীতিকে সহনীয় মাত্রায় রাখতে আগামী বাজেটে এর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। যদিও সর্বশেষ তথ্যমতে, মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি চলে গেছে।

আজ বেলা তিনটায় জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করার আগে দিনের প্রথমার্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তার অনুমোদন নেওয়া হবে। এটি হবে বর্তমান সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ২১তম বাজেট।

বর্তমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণের ঝুঁকি এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির নিুগতি বিরাজ করছে। ফলে নানামুখী চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রথম বাজেট দিতে হচ্ছে অর্থমন্ত্রীকে। ডলার সংকট এখনো কাটেনি। রিজার্ভ অনেক নিচে নেমে এসেছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। উন্নত বিশ্বে মূল্যস্ফীতি কমলেও দেশে উলটো চরিত্র বিরাজ করছে। মূল্যস্ফীতি ১০ অঙ্কের ঘর ছুঁইছুঁই। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার লাগামহীন। তবে খাদ্য উৎপাদন কিছুটা ভালো হবে-এমন আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অর্থমন্ত্রী হিসাবে অর্থনীতিকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা, নিত্যপণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা এবং জীবনযাত্রার মান সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনাকে অগ্রাধিকার দেবেন। মূল্যস্ফীতির কশাঘাত থেকে রক্ষায় কিছু নতুন দরিদ্র মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনার ঘোষণা দেবেন। প্রথম বাজেটে নতুন কিছু কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দিকনির্দেশনা থাকবে। এছাড়া প্রতিফলন ঘটানো হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনি ইশতেহারের। পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে ঘোষণা থাকতে পারে। নতুন বাজেটে তিনটি বিষয় প্রত্যাশা রেখে অর্থনীতিবিদ এমকে মুজেরী যুগান্তরকে বলেন, মূল্যস্ফীতিসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় রাজস্বনীতির সঙ্গে মুদ্রানীতি সমন্বয় করতে হবে। মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে, বাজেটে এই শ্রেণির মানুষকে সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ থাকতে হবে। আর ভিশন ২০৩১ লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে হারে প্রবৃদ্ধি হওয়ার কথা সেভাবে হচ্ছে না, সেটি নজর দিতে হবে। আসন্ন বাজেটে বিদেশি ঋণ, সুদ ও ভর্তুকি মতো ব্যয় মেটাতে রাজস্ব খাতের চাপ কাটছে না এমনিতে। ব্যয় আরও বৃদ্ধির কারণে চাপ আগামী অর্থবছরে অব্যাহত থাকছে। মোট বাজেটের ২০ শতাংশই চলে যাবে সুদ পরিশোধে। টাকার অঙ্কে এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৯৩ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদে ব্যয় হবে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী অর্থবছরে বড় ধরনের করজালের আওতা বাড়ানো হচ্ছে। করজাল সম্প্রসারণ করে রাজস্ব আদায় বাড়াতে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী বেশ কিছু প্রস্তাব দিতে পারেন। সে ধারাবাহিকতায় আগামী অর্থবছরে শুল্ক বাড়তে পারে মুঠোফোনের রিচার্জের ওপর। এতে ফোনে কথার খরচ বাড়বে। এছাড়া মধ্যবিত্ত পরিবারের ব্যবহৃত পণ্য পানিশোধন যন্ত্র, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালি সামগ্রীর ওপর শুল্ককর বাড়তে পারে। ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার ওপর আবগারি শুল্কও বাড়বে।

এছাড়া প্রায় অর্ধশত পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট হার এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। এ তালিকায় আছে-মোবাইল ফোন, আমসত্ত্ব, ফলের জুস, কোমল পানীয়, কার্বোনেটেড বেভারেজ, এনার্জি ড্রিংকস, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব ইত্যাদি। এতে ভোক্তা পর্যায়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দাম বাড়তে পারে। এছাড়া অর্ধশত মূলধনি যন্ত্র ও যন্ত্রাংশের রেয়াতি সুবিধা (শূন্য শুল্কে আমদানি) প্রত্যাহার করা হচ্ছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে। নগদ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনাপ্রশ্নে যে কেউ এই সুযোগ নিতে পারবেন। একইভাবে জমি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট কিনেও নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে টাকা সাদা করা যাবে।

এদিকে সিগারেট উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য স্তর বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে। দেশে উৎপাদিত কাজুবাদাম চাষকে সুরক্ষার আওতায় আনতে আমদানিকৃত কাজুবাদামের শুল্ক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ, এসি উৎপাদনে ব্যবহৃত কম্প্রেসার ও সব ধরনের উপকরণের শুল্ক বৃদ্ধি, পানির ফিল্টার আমদানিতে শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে। সিএনজি-এলপিজিতে কনভার্সনের ব্যবহৃত কিট, সিলিন্ডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক ৩ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে। পাশাপাশি বাসাবাড়ি বা শিল্পে জেনারেটর সংযোজন ও উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ বা যন্ত্রাংশ আমদানিতে এক শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও দেশে উৎপাদনের স্বার্থে বেশকিছু পণ্যে শুল্ক কমানোর ঘোষণা আসতে পারে। এর মধ্যে ২৮২টি পণ্যের ন্যূনতম মূল্য প্রত্যাহার-হ্রাস, সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ও সংরক্ষণমূলক শুল্ক (আরডি) কমানো হতে পারে। এর মধ্যে প্যাকেটজাত গুঁড়োদুধ আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার, চকোলেট আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ, ল্যাপটপ আমদানিতে ভ্যাট ৩১ শতাংশের পরিবর্তে ২০.৫০ শতাংশ করা হবে।

পাশাপাশি রড, বার ও এঙ্গেল তৈরির কাঁচামাল ম্যাঙ্গানিজ আমদানিতে শুল্ক ১০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ, দেশে তৈরি মোটরসাইকেলের সিকেডি ইঞ্জিনের পার্টস আমদানির শুল্ক কমানো হচ্ছে। কিডনি ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত ফিল্টার ও সার্কিট আমদানির শুল্ক ১০ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে। এ কারণে ডায়ালাইসিস খরচ কমতে পারে।

যদিও শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে এক শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। এ কারণে দেশে ব্যবহার্য অনেক পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

সাধারণত বিয়ে, বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন, গায়েহলুদ, সুন্নতে খাতনাসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সভা, সেমিনার, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে কমিউনিটি সেন্টার ও মিলনায়তন ভাড়া করা হয়। এখন থেকে বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ ছাড়া মিলনায়তন ভাড়া করা যাবে না। বর্তমানে ৪৩ ধরনের সেবা পেতে রিটার্ন জমার কপি লাগে। এই তালিকায় মিলনায়তন ভাড়া, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নিবন্ধন ও নবায়নে রিটার্ন জমার এই বাধ্যবাধকতা যুক্ত হতে পারে। আগামী অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না। এখনকার মতো বার্ষিক করমুক্ত সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকাই থাকছে। তবে করহার পুনর্বিন্যাস হচ্ছে। এখন ৫, ১০, ১৫, ২০ ও ২৫ শতাংশ করহারের সঙ্গে ৩০ শতাংশের আরেকটি স্তর আসছে। বছরে আয় সাড়ে ৩৮ লাখ টাকার বেশি হলে করদাতাকে বাকি অর্থের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

সংসদ সদস্যদের আমদানি করা গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসতে পারে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন প্রতিষ্ঠানের করহার আড়াই শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হতে পারে। শর্ত হলো ৫ লাখ টাকার একক লেনদেন এবং বার্ষিক লেনদেন ৩৬ লাখ টাকার বেশি হলে তা ব্যাংকের মাধ্যমে হতে হবে। তবে সমবায় সমিতির করহার ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে। ব্যবসায়ীরা কিছু পণ্য আমদানিতে শুল্ক সুবিধা পান। সেই সুবিধা সীমিত করা হচ্ছে। খাদ্যপণ্য, কৃষি উপকরণ, ওষুধসহ অত্যাবশ্যকীয় ও জীবন রক্ষাকারী পণ্যসহ ৩২৯টি পণ্য আমদানি করতে আমদানিকারককে কোনো আমদানি শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক দিতে হয় না। আগামী বাজেটে ওই তালিকার অন্তত ১০-১৫ শতাংশ পণ্যের ওপর ১ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। সেই হিসাবে অর্ধশতাধিক পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসতে পারে। প্রাথমিক তালিকায় আছে গম, ভুট্টা, শর্ষের বীজ, তুলার বীজ, বিভিন্ন শাকসবজির বীজ, বিটুমিন, কয়লা, জিপসাম, ভিটামিন, পেনিসিলিন, ইনসুলিন, বিভিন্ন ধরনের দরকারি রাসায়নিক, প্লাস্টিক কয়েল, পেপার বোর্ড, বিভিন্ন স্টিলজাতীয় পণ্য, শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ইত্যাদি।

এছাড়া বর্তমানে ২৭টি তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতে বিনিয়োগ করলে কর অবকাশ সুবিধা পাওয়া যায়। আগামী বাজেটে এই কর অবকাশ সুবিধাপ্রাপ্ত খাতের সংখ্যা ১৯-এ নামিয়ে আনা হচ্ছে।

এছাড়া হাইটেক পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্পকারখানার মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসতে পারে। এই দুটি অঞ্চলের শিল্পমালিকরা আর শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ পাবেন না। এক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসতে পারে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা হয়। সেই মুনাফার ওপর এখন ১০ শতাংশ উৎসে কর কেটে রাখা হয়। এটি বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে।

আয়-ব্যয় ও ঘাটতি : মোট ব্যয়ের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, মূলধনি ব্যয় ৩৭ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা, ঋণ ও অগ্রিম ৮ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৯৩ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

আগামী অর্থবছরে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনুদান আছে ৪ হাজার ৪শ কোটি টাকা। এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর ৪ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে শুধু এনবিআর নিয়ন্ত্রণ কর ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা এবং এনবিআরবহির্ভূত কর ১৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া কর ছাড়া প্রাপ্তি ৪৬ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি (অনুদানসহ) রাখা হয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির অঙ্ক হচ্ছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এই ঘাটতি পূরণে বিদেশ থেকে ঋণ নিট ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ ঋণ ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণের মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে আসবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা। মূল্যস্ফীতির কশাঘাত মোকাবিলায় ২০ লাখ ২৬ হাজার দরিদ্র মানুষকে নতুন করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন ভাতার আওতায় আসবেন ১০ লাখ ২৬ হাজার জন। এরা সবাই অতিদরিদ্র। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মুখে ওএমএসসহ খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিতে যুক্ত করা হবে বাকি ১০ লাখ। পাশাপাশি দেশের সব প্রতিবন্ধীকে ভাতার আওতায় আনা হবে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports