ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি করে আসছিলেন অনেক শিক্ষার্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনীতি সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপাচার্য লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য জানান, ‘কোনো দলীয় পরিচয়ে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি এবং শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের কোনো রাজনীতি চলবে না’ বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধের বিষয়ে কোনো সিন্ডিকেট সদস্যই বিরুদ্ধমত জানাননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তোফাজ্জল নামক মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণকে শিক্ষার্থীরা পিটিয়ে হত্যার পর তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
তার পরপরই এমন সিদ্ধান্তের কথা জানাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি করে আসছিলেন অনেক শিক্ষার্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস পুনরায় শুরু করার ঘোষণা দেয়। এরপর শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বলেছে, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না।
সিন্ডিকেট সদস্যরা জানান, ভবিষ্যতে বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটি রাজনীতির বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।