ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার সূর্য উদিত হওয়ার পথে, জাতিসংঘের আহ্বান
বিশ্বের প্রায় ১৫০ টি দেশ ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনিকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরাইল টানা বোমা বর্ষণ করে হাজার হাজার নিরিহ মানুষকে হত্যা করেছে। আর এবার ফিলিস্তিনির স্বাধীনতার সূর্য উদিত হতে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে সকল দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দল। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সোমবার (০৩ মে) এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এমন আবেদন এলো। গাজায় গত আট মাস ধরে চলা যুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলের প্রতি ক্ষোভ বেড়েছে।
জাতিসংঘের র্যাপোটিউরসহ বিশেষজ্ঞ দল বলছে, ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। স্বাধীনতার জন্য তাদের দীর্ঘদিনের লড়াইকে স্বীকার করতে হবে।
একই সঙ্গে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দল গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর পাশাপাশি রাফাতে সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
তারা বলছেন, দ্বি-রাষ্ট্র গঠনই ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলে শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র আন্তর্জাতিক পথ। এছাড়া এই দুই গোষ্ঠীর প্রজন্মের মধ্যে সহিংসতা এড়ানোর একটি মাত্র পথ এটাই।
এদিকে জাতিসংঘের এমন আহ্বান নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়ে স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ে বলেছে, যে তারা গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সহিংসতা বন্ধে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিল। একই সঙ্গে এই তিন দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশকেও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে ডেনমার্ক ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি প্রত্যাখান করেছে।
ইসরায়েল বরাবরই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে। তারা বলছে এর মাধ্যমে হামাসকে আরও শক্তিশালী করা।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলায় ১২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় তারা। এরপরই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।