সিচুয়েশন রুমে ট্রাম্প-যুক্তরাষ্ট্র এখন কী করে, সবার নজর সেদিকে

এখন গোটা বিশ্ব অপেক্ষা করছে- এই প্রতিক্রিয়া শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি ডেকে আনবে, সেটা দেখার জন্য।
এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সাথে হোয়াইট হাউজের ‘সিচুয়েশন রুম’-এ অবস্থান করছেন, পূর্বনির্ধারিত জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সেখান থেকেই তারা কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার ঘটনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
এই হামলা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল না।
গত সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যে হামলা করে, তারপর থেকেই এমন পাল্টা প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা ছিল। মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত সব মার্কিন বাহিনী উচ্চ সতর্কতায় ছিল, প্রস্তুত ছিল এমন একটি হামলার জন্য।
তবে ইরানের এই হামলার প্রকৃত মাত্রা ও পরিসর সম্পর্কে এখনই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।
যখন সেই তথ্য পাওয়া যাবে, তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সামনে দাঁড়াবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন- এখন কিভাবে জবাব দেয়া হবে?
এই মুহূর্তটি এক জটিল সন্ধিক্ষণ। এখানেই নির্ধারিত হবে- এই সংঘাত কি আরো বিস্তৃত, জটিল ও অনাকাঙ্ক্ষিত এক যুদ্ধের দিকে গড়াবে, নাকি এখনো তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা সম্ভব?
যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল ছিল- একটি নিখুঁত, লক্ষ্যভিত্তিক হামলা চালিয়ে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা দুর্বল করা এবং সেখানেই থেমে যাওয়া। কিন্তু ইরানের পাল্টা জবাব ছিল অবশ্যম্ভাবী।
এখন গোটা বিশ্ব অপেক্ষা করছে- এই প্রতিক্রিয়া শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি ডেকে আনবে, সেটা দেখার জন্য।